সিবিএন ডেস্কজ
ঢাকার হাইকোর্ট মাজারের পাশে ড্রামের ভেতর থেকে উদ্ধার করা ২৬ টুকরা মরদেহের দাফন সম্পন্ন হয়েছে রংপুরের বদরগঞ্জে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় নয়াপাড়া আল মাহফুজ মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আশরাফুল হককে (৪২)।
এর আগে গভীর রাতে এম্বুলেন্সে মরদেহ পৌঁছালে স্বজন ও এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছায়।
গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) প্রবাসী বন্ধু জরেজকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় যান আশরাফুল। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হাইকোর্ট মাজারের পাশে দুটি নীল ড্রামের ভেতর থেকে তার ২৬ টুকরা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত হয় পরিচয়।
আরও পড়ুন
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বড় বোন বাদী হয়ে বন্ধু জরেজ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের নামে মামলা করেন। একইদিন বিকেলে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রধান আসামি জরেজ ও তার প্রেমিকা শামীমাকে।
পুলিশের ধারণা, পরকীয়ার জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় আশরাফুলকে। হত্যার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাথরুমে মরদেহ টুকরো করে ফেলে রাখা হয় হাইকোর্ট মাজারের পাশে ড্রামের মধ্যে।
পেশায় কাঁচামাল আমদানিকারক আশরাফুলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয় ছিল প্রধান আসামি জরেজের। মালয়েশিয়া থেকে ফিরে সম্প্রতি জাপান যাওয়ার জন্য ২০ লাখ টাকা ধার চাইতে আশরাফুলকে ঢাকায় নিয়ে আসেন তিনি। আর সেই বিশ্বাসই শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়ায় আশরাফুলের জীবনে।
